সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কি বাস্তবায়িত হবে


আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশের সঙ্গে ইসি একমত হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিতে আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না। এখন ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়।

অতীতে নির্বাচনী কাজে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে স্ববিরোধী অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বিরোধী দলে থাকতে তারা সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে জোর আওয়াজ তুলেছে। আবার ক্ষমতায় গিয়ে বিরোধিতা করেছে। এই ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব যৌক্তিক বলে মনে করি। এ ক্ষেত্রে ইসির স্বাধীনতা থাকতে হবে। এখানে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কিংবা কারও মুখের দিকে তাকিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

এ ছাড়া সংস্কার কমিশন সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহি আদায় করার যে প্রস্তাব করেছিল, তার বিরোধিতা করেছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান। তারা বলেছে, এতে তাদের স্বাধীনতা খর্ব হবে।  ইসিকে মনে রাখা দরকার, ক্ষমতাসীনদের অঙ্গুলি হেলনে চলা স্বাধীনতা নয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের কারও না কারও কাছে জবাবদিহি করতেই হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *