সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়েই তাঁদের যুদ্ধে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘গত ২০ মার্চের পর ৫ দিন বন্দুক লোড ও গুলি করার প্রশিক্ষণ দিয়ে ষষ্ঠ দিনের মাথায় ইউক্রেনে নিয়ে যায়। যুদ্ধে নিয়ে যাবে, আমরা বুঝতেই পারিনি।’ এই তরুণ জানালেন, তাঁর সঙ্গে পুরান ঢাকার সোহাগ মিয়া, রাঙামাটির অমিত বড়ুয়া, গাজীপুরের অয়ন মণ্ডলসহ পাঁচজন ছিলেন। পরে তাঁদের বিভিন্ন সেনাশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই তরুণ বলেন, মার্চের শেষের দিকে তাঁদের অভিযানে পাঠানো হয়। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। তবে তিনি বেঁচে যান। ৭ বা ৮ এপ্রিলের দিকে ইউক্রেনের লুহানস্কে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো হয়। অভিযানে তাঁরা ১০-১২ জন ছিলেন। ফিরে এসেছেন ছয়জন, বাকিরা নিখোঁজ। দুটি অভিযানেই তাঁর কাছে ভারী অস্ত্র ছিল।
বর্তমানে ইউক্রেনের দোনেৎস্কে একটি সেনাশিবিরে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে ৩০-৪০ জন সেনাসদস্য আছেন।
‘মাছে–ভাতে বাঙালি’ ওই তরুণের এখন দিন কাটছে শুকনা রুটি ও পাস্তা খেয়ে। ‘যতই দিন যাচ্ছে, ঝুঁকি বাড়ছে ও গোলাগুলির পরিমাণ বাড়ছে। অনিশ্চিত জায়গায় আছি, এক সেকেন্ডেরও ভরসা নাই।’ বললেন এই তরুণ।