তিন গোলে এগিয়ে থাকার পর তো আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কথা এবং প্রতিপক্ষকেই আতঙ্কে রাখার কথা। কিন্তু চিত্রটা পুরোপুরি উল্টো। হঠাৎ করে কারও মনে হতে পারে, আর্সেনাল নয়, রিয়ালই বোধ হয় তিন গোলে এগিয়ে! ফলে প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে হেরেও রিয়াল যে এরই মধ্যে মানসিকভাবে বাড়তি সুবিধা নিয়ে নিয়েছে, সেটা বলাই যায়।
আর্সেনাল যে দল হিসেবে মানসিকভাবে কতটা নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে, তা দলটির মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোর কথায় অনেকটাই স্পষ্ট, ‘যা ঘটবে তার সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে এবং মনোযোগী থাকতে হবে। মানসিকতার দিক থেকে আমরা প্রতিদিন কাজ করছি। কোচ আমাদের চাপের পরিস্থিতিতে ফেলে অনুশীলন করাচ্ছেন এবং যেকোনো ধরনের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করছেন।’
মেরিনোর কথাতেই স্পষ্ট, রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর ‘অভ্যাস’ নিয়ে আর্সেনাল আতঙ্কিত। কথায় আছে, ‘বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়।’ সেই ‘বাঘ’কে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আর্সেনাল নিজেই তৈরি করেছে। শেষ পর্যন্ত এই ‘বাঘ’ তাদের খাবে নাকি ‘বাঘ বধ’ করে আর্সেনালই রাজা হয়ে উঠবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে এই ‘বাঘ’ যে আর্সেনালের সহজ কাজকে কঠিন করতে তুলতে পারে, সে আশঙ্কা করাই যায়।