কুরস্কে পিছু হটেছে ইউক্রেন, অভিযান ঘিরে নানা প্রশ্ন


চোখের পানি মুছতে মুছতে মারিয়া বলেন, এটার দরকার ছিল কি না, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। মারিয়া বলেন, ‘আমরা অনুপ্রবেশকারী নই। আমরা শুধু আমাদের এলাকা ফিরে পেতে চাই। আমাদের রাশিয়ার কোনো এলাকা দরকার নেই।’

এ বিষয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ আন্দ্রি গনাটভ বলেন, এ অভিযান চালানো হয়েছিল রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে, রুশ সেনাদের মনোযোগ ভিন্নদিকে ফেরাতে। এ ছাড়া ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে কুরস্কে অভিযান চালানো হয়।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ আরও বলেন, ওই অভিযানের অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে। এ অভিযান ঠেকাতে রাশিয়াকে ৯০ হাজার সেনার বাহিনী গড়তে হয়। এর বাইরে ১২ হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কুরস্কে হামলা শুরু করে ইউক্রেন। তাদের আকস্মিক এ হামলায় পুরো বিশ্ব চমকে গিয়েছিল। ১৯৪১ সালের নাৎসি হামলার পর রাশিয়ায় এত বড় হামলার ঘটনা আর ঘটেনি। ইউক্রেনের সেনাদের আক্রমণে কুরস্কের ১ হাজার ৩৭৬ কিলোমিটার এলাকা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু সেনা-স্বল্পতার কারণে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদের কিনারায় চলে আসে। এ আক্রমণে কিয়েভ মেরিন ও বিমানবাহিনীর সেনা ব্যবহার করে। তবে বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য সেনা অপ্রতুল হয়ে দাঁড়ায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *