পরদিন ১৪ জানুয়ারি ছিল মকরসংক্রান্তি। তার পরের পুণ্য তিথি ছিল ২৯ জানুয়ারির মৌনী অমাবস্যা, যেদিন ঘটে যায় পদপিষ্ট হওয়ার মতো দুঃখজনক ঘটনা। ওই দুর্ঘটনাও পুণ্যার্থীদের স্রোত কমাতে পারেনি। বসন্তপঞ্চমী (৩ ফেব্রুয়ারি), মাঘীপূর্ণিমা (১২ ফেব্রুয়ারি) এবং ২৬ ফেব্রুয়ারির শিবরাত্রির দিন শাহি স্নান উপলক্ষে কোটি কোটি মানুষ প্রয়াগরাজে ভিড় করেছেন। কোটিপতির সঙ্গে সাধারণ মানুষ, খ্যাতনামার পাশাপাশি অখ্যাত–অজ্ঞাত সবাই মিলেমিশে অবগাহন করেছেন সঙ্গমে। মারাত্মক জলদূষণের বিতর্কও দমাতে পারেনি পুণ্যলোভী জনতাকে। বিজ্ঞান ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে বিশ্বাস।
মহাকুম্ভে কোটি কোটি মানুষ এবার যেখানে ডুব দিয়েছেন, সঙ্গমের সেই এলাকার গভীরতা হাঁটুজলের বেশি নয়। আরও ১৪৪ বছর পর এবারকার মতো গ্রহ–নক্ষত্রের মহামিলন মহাতিথির জন্ম দিলে মহাকুম্ভের যে আসর বসবে, সে সময় সঙ্গমস্থলে জলের ক্ষীণ প্রবাহও থাকবে না বলে সাবধান করে দিয়েছেন লাদাখের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী শিক্ষাবিদ সোনম ওয়াংচুক। আমির খানের তৈরি ‘থ্রি ইডিয়টস’–এর ‘র্যাঞ্চো’ বাস্তবের সোমন ওয়াংচুক দিল্লিতে সবাইকে সতর্ক করে মঙ্গলবার বলেছেন, লাদাখসহ গোটা হিমালয়ে উষ্ণায়ন, সেনানীদের দাপাদাপি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন পরিবেশের যে ক্ষতি করে চলেছে, তাতে ১৪৪ বছর পর আয়োজিত মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের সঙ্গমে জলের পরিবর্তে বালিয়াড়িতে ডুব দিতে হবে।