পিলখানা হত্যাকাণ্ড: প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে শহীদ পরিবারের অনুরোধ


ওই ঘটনায় অনেকের মরদেহ বিকৃত, ক্ষতবিক্ষত করে মাটিচাপা, ড্রেনে ফেলে দেওয়া ও গুম করা হয়। এ ছাড়া নানাভাবে নির্যাতন করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া কর্মকর্তাদের বেশির ভাগকেও চরম নির্যাতন করা হয়। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের বাসস্থানে ভাঙচুর–ডাকাতি, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব অপরাধের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী শহীদ পরিবারের সদস্য ও বেঁচে ফেরা কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেদিন যে শুধু পিলখানায় বিদ্রোহ হয়েছে, তা নয়, উসকানির মাধ্যমে সারা দেশের রাইফেল ব্যাটালিয়ন ও ট্রেনিং সেন্টারে বিদ্রোহ সংগঠিত করা হয়েছে। পরে তৎকালীন সরকার গঠিত বিভিন্ন কমিশনের তদন্তে ওই ঘটনার নেপথ্যে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের নাম রাজনৈতিক কারণে বেরিয়ে আসেনি। তবে সিভিল কোর্ট ও বিডিআর কোর্টে বিপথগামী জওয়ানদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়। তাই অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত জওয়ানদের নিরপরাধ বলার কোনো সুযোগ নেই এবং তাঁদের মুক্তির দাবি অযৌক্তিক। এমন প্রেক্ষাপটে শহীদ পরিবারের সদস্য ও বেঁচে যাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের দাবি, সব অপরাধীর প্রাপ্য সাজা অবিলম্বে কার্যকর করে যেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ঘটনার সঠিক বিচার না হলে ভবিষ্যতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

অভিযুক্ত সৈনিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা গত ১৫ বছর কোনো দাবি নিয়ে মাঠে আসেননি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ অযৌক্তিক দাবি তুলে জাতিকে বিভ্রান্ত করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করার অপচেষ্টা করছেন তাঁরা। এভাবে জাতির দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ওই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের আড়াল করার মাধ্যমে বর্তমান ছাত্র–জনতার সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চলছে। এটি সেনা কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রয়াস বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *