বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল ও পার্বত্যাঞ্চলে আরাকান আর্মির প্রভাব বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা প্রয়োজন। আমরা যখন পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কথা বলি, তখন শুধু শান্তিবাহিনীর কথা বলছি। কিন্তু ওদিকে আরও বড় বিপদ। সীমান্তের ওপারের এলাকা এখন আরাকান আর্মির দখলে। তারা বাঙালি ও ইসলামবিদ্বেষী। তারা রোহিঙ্গাদের জন্যও আশীর্বাদস্বরূপ নয়। তারা নতুন করে ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে, সীমান্তের ওপারে আরও লাখখানেক অপেক্ষা করছে। আরাকান আর্মির পাশাপাশি ভারতও সীমান্ত এলাকায় জটিল পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।’
আমীর খসরু মনে করেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থাকে এখন পুনর্গঠনের পাশাপাশি নতুন করে তাদের করণীয় নির্ধারণ করে দেওয়া প্রয়োজন। তিনি একটি জাতীয় নিরাপত্তাকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের একটা ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। নিরাপত্তাকাঠামো বলতে শুধু সীমান্ত পাহারা দেওয়া নয়। একই সঙ্গে আমাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, যোগাযোগব্যবস্থা, খাদ্যনিরাপত্তা, খাদ্য সরবরাহব্যবস্থা সবকিছুকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’