মিনু হক বলেন, তাঁর মা তাঁকে পাঠিয়েছিলেন যুদ্ধে। এমন অনেক মা তাঁর ছেলেমেয়েদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শাহীন আনাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অনেক গল্প অগোচরে রয়ে গেছে। অনেক মায়ের ছোট ছোট সহযোগিতা, সাহসিকতার গল্প লোকে জানে না। ছেলের কোমরে মুড়ির পোঁটলা বেঁধে দিয়ে মা বলেছিলেন, ‘দেশ স্বাধীন না হলে ফিরবি না।’ সেই ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হলেন। সেই মা কী হলেন?
শাহীন আনাম ও তাঁর ছোট ভাই রিজওয়ান বিন ফারুক তাঁদের মা মুসলেহা ইসলামের ভূমিকার কথা বলে জানান, তাঁদের এক ভাই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। তাঁদের ধানমন্ডির বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র, গ্রেনেড লুকিয়ে রাখা হতো। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে রিজওয়ান বিন ফারুক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। একদিন ভোরে তাঁকে ঘুম থেকে তুলে পাকিস্তানি সৈন্যরা গাড়িতে তুলতে যাচ্ছিল। ওই সময় মা পাকিস্তানি সৈন্যদের কাছ থেকে তাঁকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন।
নারীর মুক্তিসংগ্রাম ও সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জননী সাহসিকা কবি সুফিয়া কামালের দুই মেয়ে সুলতানা কামাল ও সাঈদা কামাল মায়ের কথা স্মরণ করেন গর্বভরে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, তাঁদের ধানমন্ডির বাড়িটির (সাঁঝের মায়া) দিকে সব সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নজরদারি রাখত। মা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং মুক্তিযুদ্ধের পর পুনর্বাসনকাজে তিনি সক্রিয় ছিলেন।