মাইকেল চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সব জাতিসত্তার মানুষের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের দুদিন পর ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের একটি স্থানে তাঁকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাইকেল চাকমা আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তিনবার একটি বিষয় আমাকে বলেছে, পার্বত্য চুক্তি কেন গ্রহণ করতে পারিনি? চুক্তি গ্রহণ না করা মানে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারা। চুক্তি (পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি) যেহেতু সরকারের সঙ্গে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে হয়েছে সুতরাং চুক্তির বিরোধিতা করা মানে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ—এমন বলেছে আমাকে।’
মাইকেল চাকমা আরও বলেন, ‘আমি কী গ্রহণ করব, না করব এর অধিকার আছে। মূলত শেখ হাসিনা যে খুন গুম করে মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য, আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এগুলো করেছেন।’ তবে কারা গুম করেছিল, তাদের পরিচয়, চেহারা জানতে পারেননি। প্রশ্ন করাও বারণ ছিল বলে জানান তিনি।