আসাদের জন্য এটা ছিল বিশাল ভুল হিসাব। সিরিয়াকে ইরান বাড়তি সামরিক সমর্থন না দেওয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণে সিরিয়ার সেনাবাহিনী দ্রুত ভেঙে পড়ে।
বাইরের সমর্থন কখনো সীমাহীন অথবা শর্তহীন হতে পারে না। বিশেষ করে যখন পৃষ্ঠপোষক দেশকে নিজস্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
উদাহরণ হিসেবে, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। আলেপ্পোর পতন ঠেকাতে রাশিয়ার ব্যর্থতায় সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। রাশিয়া তাদের বেশির ভাগ যুদ্ধবিমান ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছিল।
দ্বিতীয় শিক্ষা হচ্ছে, ঠিকমতো সংস্কার না করতে পারলে সেটা আপনার বিলোপ ডেকে আনবে। এটা তর্কাতীত যে ২০১৬ সালে আসাদ সরকার ও তার মিত্রদের হাতে আলেপ্পোর পতন হলে, সেটা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের হাওয়া আসাদের পক্ষে পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
এরপর ২০১৮ সালে দারা ও পূর্ব গৌতাতে আসাদ ও তাঁর মিত্রদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আত্মসমর্পণ করে।
এর ফলে ক্ষমতার মুঠো আসাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। অথচ সেটাকে একটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হয়েছিল। যা–ই হোক, আসাদ কোনো ধরনের আপসের দিকে হাঁটেননি। এমন কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া তিনি শুরু করেননি, যেখানে বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
ব্যাপক মাত্রার দমন–পীড়ন রীতিতে পরিণত হয়েছিল। এর মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া, নির্যাতন, হাজার হাজার মানুষকে নির্বিচার আটক।
ইদলিবে উত্তেজনা প্রশমনে যে চুক্তি করা হয়েছিল, তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছিল।
রাশিয়ার মধ্যস্থতায় তুরস্কের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারেও আসাদ ক্রমাগত প্রত্যাখ্যান করে গিয়েছিলেন আসাদ।