‘স্বর্গের সিঁড়ি’ বেয়ে খাগড়াছড়ি দেখা


পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, সিঁড়ি হওয়ার আগে পাহাড়ের চূড়ায় বাসিন্দাদের বর্ষাকালে চলাচল করতে কষ্ট হতো। পাহাড়টির এমন অবস্থা যে তাতে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করা সম্ভব ছিল না। সে সময় ৩০ ফুট লম্বা একটা তুলা গাছকে ধরে তাদের চলাচল করতে হতো। তবে সিঁড়িটি হওয়ার পর যেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কষ্ট কমেছে, তেমনি পর্যটকদের আসাও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ছুটির দিনে অনেক পর্যটক আসেন। পাখির চোখে খাগড়াছড়ি শহর দেখার জন্য স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে তাঁরা উঠে যান পাহাড়ে।

২০১৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড স্থাপন করে এই সিঁড়ি। নান্দনিক এই সিঁড়ি যেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজন মেটাচ্ছে, ঠিক তেমনি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। প্রায় ১১০-১২০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের নির্মিত এ সিঁড়িতে রয়েছে ৩০০টি ধাপ। মূল দৈর্ঘ্য ৩০৮ ফুটের কাছাকাছি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ২০৮ ফুট উচ্চতায় মায়ুং কপাল পাহাড়। এই পাহাড়ে রয়েছে ১৫টি ত্রিপুরা পাড়া। মূলত পাড়াবাসীরাই ব্যবহার করে থাকেন এই সিঁড়ি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *