মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদী এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশের জন্য বদলে যেতে হবে আমাদের সবাইকে। যেভাবে ছাত্ররা আন্দোলন করে বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে, ইলিশকে বাঁচাতে আমাদের সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ জন্য আমরা এবার অতিরিক্ত কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ সদস্য আনাব। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সহযোগিতা নেব, যাতে করে নিষিদ্ধ সময়ে একটি ইলিশও কেউ যেন ধরতে না পারে। এই ২২ দিন যে–ই ইলিশ ধরবেন বা কিনবেন তাঁকেই আমরা জেলে দেব। এ সময় এ জেলার কোথাও একটি বরফকলও খুলতে দেওয়া হবে না।’
অসময়ে মা ইলিশ বা জাটকা ইলিশ যাঁরা ধরেন চাঁদপুরের প্রতিটি এলাকা থেকে তালিকা করে সেই জেলেদের, গডফাদারদের এবার শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘তা ছাড়া চাঁদপুরে যে ৪৩ হাজার জেলের তালিকা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রকৃত জেলে নন। আমরা শিগগিরই হালনাগাদ করে প্রকৃত জেলেদের তালিকা করব।’