পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি সদরে ১৮ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মো. মামুন নামের এক বাঙালি যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরদিন দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতা হয়। ওই দিন দীঘিনালায় পিটুনিতে ধনঞ্জয় চাকমা নামে এক ব্যক্তি মারা যান। রাতে সদরে গোলাগুলি হয়। এ সময় দুজন পাহাড়ি যুবক মারা যান।
এর প্রতিবাদে রাঙামাটিতে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’–এর ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন পাহাড়িরা। শহরের বনরূপা বাজারে মিছিলটি গেলে সেখানে বাঙালিদের সঙ্গে সংঘাত বাধে। পরে শহরের দক্ষিণ কালিন্দীপুর সড়কে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় অনিক কুমার চাকমাকে। কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী সরকারি ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র অনিককে হত্যার দৃশ্যসংবলিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জেএসএসের প্রতিবেদনে এসব ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে সংঘাতের বিষয়ে বলা হয়, ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের রাঙামাটির মিছিলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী ইউপিডিএফের দুই শতাধিক ছাত্র–যুবক অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে পৌঁছালে অন্যান্য স্লোগানের সঙ্গে “পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কর, করতে হবে” স্লোগানটি তুলে ধরলে অধিকাংশ ছাত্র “বাস্তবায়ন কর, করতে হবে” বললেও ইউপিডিএফের সেই ছাত্র-যুবকেরা “ভুয়া, ভুয়া” বলে চিৎকার করে। মিছিলটি জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শিল্পকলা একাডেমির কাছে পৌঁছালে সেখান থেকে প্রায় ২০০ জন অপরিচিত ছাত্র-যুবক মিছিলে শামিল হন, যাঁদেরকে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকেরা চেনেন না বলে জানিয়েছেন।’