প্রথম আলোর খবর থেকে জানা যায়, ডাকাত দলের একাধিক সদস্য মাত্র কয়েক দিন আগে জামিনে বের হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ অনেক গুরুতর অভিযোগ আছে। এসব ব্যক্তি ক্ষমতার পালাবদলের সুযোগ নিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। সবাই ডাকাতির দায়ে গ্রেপ্তার হলেও তাদের আইনজীবীরা আদালতে জামিনের পক্ষে এই যুক্তি দেখান যে বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক মামলা করা হয়েছে। সরকারপক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়নি। দুর্ধর্ষ ডাকাতেরা যদি জামিনে ছাড়া না পেত, তাহলে হয়তো তরুণ সেনা কর্মকর্তাকে অকালে জীবন দিতে হতো না।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারার সংরক্ষিত বনে পাঁচ থেকে ছয়টি ডাকাত দলের শতাধিক সদস্য রয়েছে। দিনের বেলায় ডাকাতেরা গহিন বনের ভেতরে আত্মগোপনে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত গ্রামে ঢুকে লুটপাট, অপহরণ, ধর্ষণ, গরু চুরিতে নেমে পড়ে তারা। বেশির ভাগ সদস্যের আস্তানা চকরিয়ার মালুমঘাটের রিজার্ভপাড়া ও কাটাখালীর গহিন অরণ্যে। কাটাখালী ও রিজার্ভপাড়ার একটি দলের নেতৃত্ব দেয় হেলাল উদ্দিন। সে সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় জড়িত। ওই দিন ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হেলালকে গ্রেপ্তার করেন।