হামলায় পিঠাপিঠি তিন বোন একসঙ্গে নিহত, এক কবরে দাফন


১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল সকালের সেই হামলায় একসঙ্গে প্রাণ হারান ১৬ জন। তাঁদেরই তিনজন মোজাহেরুল হকের ছোট বোন। নিহত তিন বোনের মধ্যে বড় আসমা বেগম তখন চট্টগ্রাম গার্লস কলেজের ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। নাজমা ও ফাতেমা নামের অন্য দুই বোন চট্টগ্রাম পুলিশ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। মর্টার শেলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আসমা ও ফাতেমা। চারপাশে পাকিস্তানি সেনারা ঘিরে রেখেছিল, তাই কোনো চিকিৎসা নেওয়ারও সুযোগ ছিল না। রক্তক্ষরণ হতে হতে বিকেলের দিকে মারা যায় কিশোরী নাজমা।

এ বাড়িতে সকালের প্রাণহানির পর খোঁড়া হয়েছিল কয়েকটি কবর। একটি কবরে দাফন করা হয়েছিল দুই বোনকে। তবে তৃতীয়জনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে সেই কবর খুঁড়েই রাখা হয়েছিল বলে জানান নিহত বোনদের বড় ভাই। সন্ধ্যায় সেখানে জায়গা হয়ে যায় তৃতীয় বোনেরও।

এই তিনজনের স্মৃতি বলতে এখনো রয়েছে একটি সাদা-কালো ছবি, তাঁদের ব্যবহার করা তিনটি জামা ও দুটি শাড়ি। এই স্মৃতি গত ৫৪ বছর যত্ন করে রেখেছে পরিবারটি। সেই স্মৃতি নিয়ে কাজ করেছেন এই প্রজন্মের একদল তরুণ শিল্পী। জলরং, তৈলচিত্র ও দৃশ্যমাধ্যমেও তিন বোনকে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। এমন ৪৫টি শিল্পকর্ম নিয়ে শুরু হয়েছে ত্রিবেণী প্রদর্শনী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *