সেই স্বপ্নের বীজ যেন কোনোভাবেই অঙ্কুরে বিনষ্ট না হয়


সরকারের উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। সমতল অঞ্চলের কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি বা নৈতিকতাহীনতায় জড়িয়ে পড়লে তাঁকে শাস্তিমূলক হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। তঁারা বোধ হয় ভুলে যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশেরই অখণ্ডিত ভূখণ্ড।

এ ধরনের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের এটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমতলের দুর্নীতিবাজ, নীতিভ্রষ্ট ও চরিত্রহীন কর্মকর্তাদের স্বর্গরাজ্য নয়। অপরাধীকে তার অপরাধের জন্য আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। পার্বত্য চট্টগ্রামকে আবর্জনার ভাগাড় বানিয়ে যারা বদলি–বাণিজ্যের ফায়দা লুটতে চায়, তাদেরও চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

বাংলাদেশ একটি বহু জাতি ও বহু সংস্কৃতির দেশ। তাই সব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এ দেশের বহুত্ববাদকে গ্রহণ করতে হবে। চব্বিশের জুলাইয়ের পর সংবিধান সংস্কারসহ রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বারবার বলা হচ্ছে। সংবিধানে দেশের সব জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাওয়া নতুন এই বাংলাদেশে বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার যে স্বপ্ন তরুণ প্রজন্ম দেখছে, সেই স্বপ্নের বীজ যেন কোনোভাবেই অঙ্কুরে বিনষ্ট না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ইলিরা দেওয়ান মানবাধিকারকর্মী ও লেখক

* মতামত লেখকের নিজস্ব



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *