সুরা মুলক রাতে কেন পড়া হয়


১৬. তোমরা কি এ কথা ভেবে নিশ্চিন্ত আছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে নিয়ে হঠাৎ করে মাটিকে ধসিয়ে দেবেন না, আর তা থরথর ক’রে কাঁপতে থাকবে না? ১৭. বা তোমরা কি নিশ্চিন্ত আছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের ওপর কঙ্কর-ঝঞ্ঝা বইয়ে দেবেন না? তখন তোমরা জানতে পারবে কী কঠোর ছিল আমার সতর্কবাণী। ১৮. ওদের আগে যারা এসেছিল তারা মিথ্যা আরোপ করেছিল, তাই কী কঠিন হয়েছিল ওদের ওপর আমার শাস্তি!

১৯. ওরা কি ওদের ওপরে উড়ন্ত পাখিদের লক্ষ করে না, যারা পাখা মেলে ও বন্ধ করে? করুণাময় আল্লাহই তাদেরকে স্থির রাখেন। তিনি তো সব বিষয়ই ভালো করে দেখেন।

২০. করুণাময় আল্লাহ্ ছাড়া তোমাদের কি কোনো সেনাবাহিনী আছে যারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে? অবিশ্বাসীরা তো বিভ্রান্তিতে রয়েছে। ২১. তিনি যদি জীবনের উপকরণ সরবরাহ বন্ধ ক’রে দেন, তবে এমন কে আছে যে তোমাদেরকে তা দেবে? ওরা তো অবাধ্যতা ও সত্যবিমুখতায় অটল রয়েছে। ২২. যে-ব্যক্তি মুখে ভর দিয়ে চলে সে কি ঠিক পথে চলে, নাকি সে-ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে?

২৩. বলো, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন আর তোমাদেরকে দিয়েছেন দেখার ও শোনার শক্তি এবং অন্তঃকরণ।’ অথচ তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। ২৪. বলো, ‘তিনিই পৃথিবীতে তোমাদের বংশবিস্তার করেন আর তাঁরই কাছে তোমরা সমবেত হবে।’

২৫. ওরা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে বলো এ-প্রতিশ্রুতি কবে পালন করা হবে?’ ২৬. বলো, ‘এর জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে, আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’

২৭. যখন শাস্তি আসন্ন দেখবে তখন অবিশ্বাসীদের মুখ ম্লান হয়ে পড়বে আর ওদেরকে বলা হবে, ‘এ-ই তো তোমরা চেয়েছিলে।’

২৮. বলো, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ্ আমাকে ও আমার সঙ্গীদেরকে ধ্বংস করেন বা আমাদের প্রতি দয়া করেন (তাতে ওদের কী), কে ওদেরকে মারাত্মক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ ২৯. বলো, ‘তিনি করুণাময়, আমরা তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখি ও তাঁরই ওপর নির্ভর করি। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে, কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।’

৩০. বলো, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি পানি মাটির নিচে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়, তবে কে তোমাদের জন্য পানি বইয়ে দেবে?’

(সুরা মুলক , কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *