বেলা দুইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে চন্দ্রামুখী লেন ছেড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ওই লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বেলা পৌনে তিনটার দিকে মালিকপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অপর লেনটি ছেড়ে দেন শ্রমিকেরা। এতে উভয় পাশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিক শ্রমিকদের বছরে এক জোড়া জুতা, পিকনিকের আয়োজন, মানসম্মত খাবারসহ নানা ধরনের সুযোগ–সুবিধা দেন। শ্রমিকদের প্রতি বেশ আন্তরিক মালিক। তবে গিল্ডানের পরিচালক তাইজুল ইসলাম শ্রমিকদের এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাইজুল শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ-সুবিধা নিজে আত্মসাৎ করেন।
শ্রমিকেরা আরও অভিযোগ করেন, তাঁরা তাইজুলের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করতে গেলে শ্রমিকদের ১০-১৫ জনকে মারধর করেন তাইজুলের লোকজন।
ওই কারখানার শ্রমিক হারুন বলেন, ‘কোম্পানির মালিক কম্বল দেন, কিন্তু তা আমাদের দেওয়া হয় গেঞ্জি সেলাই করে। মালিক জুতার জন্য টাকা দেন, কিন্তু তিনি সেই টাকা দেন না। এ ছাড়া আরও অনেক সুবিধা মালিক দিলেও তাইজুল সে টাকা আত্মসাৎ করেন। আজকে কারখানায় কাজ করতে গিয়ে দেখি, প্রশাসনের কোনো লোকজন নেই। দুই দিন ধরে একই অবস্থা। আজ বিষয়টি জানার জন্য মূল শাখা শাহরিয়ার কারখানায় আসার সময় পথে তাইজুলের লোকজন আমাদের মারধর করেন। অনেকের মাথা ফেটে গেছে। সেলাই দিতে হয়েছে। আমাদের একটাই দাবি, তাইজুলের পদত্যাগ।’