কিন্তু তাঁদের আশ্বাস ও অঙ্গীকার কেন অপরাধ কমাতে পারছে না? সাম্প্রতিক কালে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও চলছে। সোহাগ হত্যার ঘটনায় যুবদল সভাপতি সংবাদ সম্মেলন করে মামলা থেকে বাদীর এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তাঁর এই প্রশ্নের যথার্থতা স্বীকার করে বলব, যে সংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় এ রকম খুনি তৈরি হয়, সেই সংগঠন কি খুনের দায় এড়াতে পারে? রাজনৈতিক দলগুলো তাদের যেসব নেতা-কর্মী হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন, তাঁদের বহিষ্কার করেই দায়িত্ব শেষ করছে। কিন্তু কীভাবে দলের আশ্রয়ে তাঁরা দুর্ধর্ষ অপরাধীতে পরিণত হচ্ছেন, সেই প্রশ্ন নিজেদের করছেন না।
একের পর এক নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মমাফিক কার্যক্রমের বাইরে কিছু করছে না। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত আছেন। অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিও পক্ষপাতমূলক। লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আসামি ছিনতাই করার দায়ে সরকার স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কিন্তু চট্টগ্রামের পটিয়ায় যাঁরা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হলেন, সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এটা আইনের শাসনের পরিপন্থী।
অপরাধীদের দমন করতে হলে আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দায় এড়ানোর মনোবৃত্তি থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে।