সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যৌথ বাহিনী বা সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট এ মর্মান্তিক ঘটনায় অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনকভাবে তৌহিদুলকে হত্যার অভিযোগে বেসামরিক লোকজন; অর্থাৎ তাঁদের সন্তানদের আসামি করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে তৌহিদুলের পরিবারের জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধ থাকতে পারে, যা সমাধানযোগ্য। কিন্তু এর জেরে সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেওয়া কিংবা বেসামরিক লোক হয়ে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গিয়ে অভিযান চালানো এবং তৌহিদুলকে তুলে নিয়ে নির্যাতনে হত্যার মতো নির্মম ঘটনা সংঘটিত করার মতো ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা কতটুকু যৌক্তিক, প্রশ্ন তোলা হয়। পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে সেনা ক্যাম্পে তৌহিদুলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলেও জানানো হয়।
মোক্তল হোসেন বলেন, ‘আমরা সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছি, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমরা যেকোনো শাস্তি মেনে নেব। আমরা মনে করি, তৌহিদুলের মৃত্যুর ঘটনাটি কারা বা কী কারণে সংঘটিত হয়েছে, তা ঘটনার পর সুস্পষ্টভাবে তাঁর পরিবারের বক্তব্য, যৌথ ও সেনাবাহিনীর কার্যক্রমে ইতিমধ্যে অনেকটাই প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সন্তানদের এ মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বর্তমানে আমরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে ও হয়রানির শিকার হয়ে বাড়ি-এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা চাই, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ বেসামরিক ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেওয়া হোক এবং প্রকৃত জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’