সব জিম্মির মুক্তি দিতে হামাস রাজি, ইসরায়েলের পাঁচ শর্ত


২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে দেশটিতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। ইসরায়েল থেকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় প্রায় আড়াই শ জনকে। সেদিন থেকেই গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে প্রায় ২৩ মাসে উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ।

এই সময়ের মধ্যে মাত্র দুবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। এর মধ্যে একবার সাত দিনের, আরেকবার প্রায় দুই মাসের। শেষের যুদ্ধবিরতি নিজেই ভেঙেছিল ইসরায়েল। তার পর থেকে নতুন করে সংঘাত বন্ধের বিষয়ে গড়িমসি করছে ইসরায়েল সরকার। সংঘাত বন্ধ তো দূরের কথা, উপত্যকাটির উত্তরে গাজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল বাহিনী।

গাজা নগরী দখল নিয়ে সম্প্রতি ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান এয়াল জামিরের বেশ কয়েক দফায় বচসা হয়েছে। জামির বারবার বলে আসছেন, গাজা নগরীর দখল জিম্মিদের জীবন নিয়ে হুমকি সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে সেনাসদস্যদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে এমন কথা মানতে নারাজ নেতানিয়াহু ও তাঁর মন্ত্রীরা।

এরই মধ্যে বুধবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেলে ১২-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এয়াল জামির বলেছেন, ইসরায়েল যদি গাজা নগরী দখলের পরিকল্পনায় এগিয়ে যায়, তাহলে নভেম্বর থেকে উপত্যকাটিতে সামরিক শাসন জারি করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *