সক্রিয় হোক নতুন পরিবীক্ষণ কমিটি


দলীয় সরকারগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের গোটা জনগোষ্ঠীর দাবিদাওয়া বাস্তবায়নের চেয়ে দলীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় বেশি উদ্‌গ্রীব ছিল। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের দলীয় কোনো অভিলাষ নেই, সেহেতু তারা খোলামনে সমস্যাগুলো আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধানের পথ বের করতে পারবে।

সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে এর যে মূল সমস্যা ভূমি বিরোধ, তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দুর্ভাগ্য হলো চুক্তির পর ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে একাধিক কমিশন গঠিত হলেও তারা কাজ করতে পারেনি। ভূমি বিরোধ কমিশন যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করাও সরকারের দায়িত্ব।

পার্বত্য চুক্তির অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বকীয় সত্তা, সংস্কৃতি ও জীবনধারাকে সমুন্নত রাখা। গত আড়াই দশকে সেখানকার অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নেওয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। চুক্তির অনেক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত প্রতিপালিত না হওয়ায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা দূর করতে হবে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। এ ক্ষেত্রে পরিবীক্ষণ কমিটি সরকার ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *