৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, এ দেশে সহিংসতা হচ্ছে না, রাজনৈতিক নিপীড়ন হচ্ছে। তাহলে দুর্গাপূজায় কেন মাদ্রাসার ছাত্রদের নামিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন? এতেই প্রতীয়মান হয় এ দেশের সংখ্যালঘুরা কতটা অনিরাপদ।’
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আমাদের যে হিন্দু উপদেষ্টা হলেন, তিনি আজও কোনো মন্দির পরিদর্শনে যাননি, কোনো ক্ষতিগ্রস্তের পাশে দাঁড়াননি। হিন্দুদের স্বার্থে, সংখ্যালঘুদের স্বার্থে কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তাহলে কাকে হিন্দু প্রতিনিধি বানানো হয়েছে?’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এই নেতা বলেন, পৃথিবীতে আপনি শান্তির বার্তা দিয়েছেন, শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যদি নিরাপদ না থাকে, এ শান্তি স্থায়ীভাবে বিপন্ন হবে। এই দেশ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। রাজনীতি আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপিত হবে। গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের জন্য প্রতিটি ধর্মের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে সমুন্নত করতে দৃশ্যমান উদ্যোগ নিন।