জানা গেছে, আশুলিয়ার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি শান্ত করতে সাভারের গলফ ক্লাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাবাহিনীর কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা। বৈঠকে সেনা কর্মকর্তারা জানান, কিছু শ্রমিকনেতা শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছেন, এমন তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তখন শ্রমিকনেতারা জানান, যাঁরা বেআইনি কাজ করবে, তাঁদের সমর্থন দেওয়া হবে না। সভায় শ্রমিকদের সচেতন করে তোলার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা নিয়ে আলোচনা হয়।
আশুলিয়ার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও একাধিক কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকালও বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে কাজ না করে বসে থাকেন। অন্যদিকে কয়েকটি কারখানায় কাজ শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে ছুটি দিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, আন্দোলনরত পোশাকশ্রমিকদের কর্মবিরতির পরিপ্রেক্ষিতে গত দুই দিনে আটটি কারখানা শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে। কারখানাগুলো হচ্ছে এজে সুপার গার্মেন্টস, মাম গার্মেন্টস, ফিরোজা গার্মেন্টস, নাসা সুপার গার্মেন্টস, নাসা বেসিকস, ট্রাউজার লাইন, আল-মুসলিম অ্যাপারেলস ও এস সুহি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।