শান্তিনিকেতনে চীন-ভারত সম্মেলনের তাৎপর্য কী


চীন-ভারত সম্পর্ক খুবই চমকপ্রদ, আবার জটিলও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই সম্পর্কে এমন অনেক কিছু ভেতরে–ভেতরে হয়, যা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। যেমন ২০২০ সালে যখন দুই দেশের সংঘর্ষ হলো, তখন মনে হয়েছিল ১৯৬২ সালে যখন যুদ্ধ হয়েছিল, সে সময়ের মতোই সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হবে। ‘কিন্তু তা হয়নি’ বললেন ভারতের অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত টি সি এ রঙ্গচারী। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ হলেও যোগাযোগ ছিন্ন হয়নি। সম্পর্ক একটা ভিন্ন রূপ নিয়েছে। এখন সীমান্ত আলোচনাও শুরু হয়েছে।

পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর গত ডিসেম্বরে সীমান্ত আলোচনা আবার শুরু হয়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে বিভিন্ন স্তরে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক স্তরে আলোচনা বন্ধ ছিল। লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যেই এই আলোচনা শুরু হয়েছিল বলে ২০২২ সালের মার্চ মাসে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং তিনি দুই বছর ধরে অর্থাৎ ২০২০ সালে সংঘর্ষের পরই কথাবার্তা বলছেন।

জয়শঙ্কর  বলেন, ‘আমরা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মস্কোতে দেখা করেছি, তারপর আবার দুশানবেতে…এ সময়ে আমাদের টেলিফোনে কথা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তার প্রধান বিষয় ছিল সীমান্ত পরিস্থিতি। বৈঠকের ফলে সীমান্ত সম্পর্কের উন্নতিতে অনেকটাই কাজ হয়েছে। তবে কাজকে জমিতে বাস্তবায়ন করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *