আজ রাত আটটার দিকে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পিটুনির ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাতে ঘটনাস্থলে দুজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। ওই ব্যক্তি আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বরাতে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে করে ডাকাতি করতে আসে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। তখন ওই এলাকার নৌযানের শ্রমিকেরা ও স্থানীয় জনতা ডাকাত দলকে ধাওয়া করেন। তখন ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি, ককটেল, বোমা ছুড়ে স্পিডবোটে করে কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালাতে থাকেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শরীয়তপুরের দাদপুর এলাকা থেকে ডোমসার তেঁতুলিয়া পর্যন্ত কীর্তিনাশা নদীর দুই তীরে ও নদীতে নেমে স্থানীয় লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করেন। তখন ডাকাত দলের সদস্যরা জনতার ওপর গুলি ও ককেটেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে ডোমসার তেঁতুলিয়া এলাকায় নদীতে স্পিডবোট ফেলে একটি ইটভাটায় পালান ডাকাত দলের সদস্যরা। স্থানীয় জনতা ওই ইটভাটা ঘেরাও করে ডাকাত দলের সাত সদস্যকে আটক করে পিটুনি দেন। পিটুনিতে ডাকাত দলের দুই সদস্য মারা যান। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় মানুষদের সরিয়ে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।