রাশিয়ায় নেপালি তরুণের করুণ গল্প


আমাদের ইউনিটে একজন ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিষ্ট্রান। আমাদের ইউনিটের অন্য সদস্যরা মনে করতেন, শত্রুর প্রতি তাঁরও অনুকম্পা রয়েছে। আমাদের দুজনকে নিয়ে মজার করতেন। তাঁরা আমাদের দুজনকে মজা করে বলতেন ‘মাদার তেরেসা স্কোয়াড’।

কর্তৃপক্ষ আমাদের ইউনিটে এসে বিবেককে নিয়ে যাওয়ার পর কী ঘটেছিল, সেটা আমি জানি না। যাহোক, পরে আমি অনলাইনে একটি ভিডিওতে তাঁকে দেখেছি। আদালতে অন্য ভাড়াটে সেনাদের সঙ্গে বিবেককে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ফুটেজ ছিল সেটি।

বিবেকের সঙ্গে কথা হওয়ার পরই আমি জানতে পারি, বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার লোককে প্রলুব্ধ করে ও নির্যাতন করে কীভাবে রাশিয়া তাদের দেশে নিয়ে আসছে। এসব লোকের বেশির ভাগই এশিয়া ও আফ্রিকার এবং সবচেয়ে গরিব তাঁরা।

তাঁরা অনথিভুক্ত শ্রমিক হওয়ায় তাঁদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। হাসপাতালে চাকরি কিংবা পাচক হিসেবে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের নিয়ে আসা হলেও তাঁদের কামানের গুলির মুখে ফেলে দেওয়া হয়।

তাঁদের অনেকে নিহত হন। অনেকে ভাগ্যবান যে তাঁরা জীবিত ধরা পড়েন। কিন্তু কয়েক বছর কারাগারে থাকতে হবে তাঁদের।

এসব দেখা বেদনাদায়ক।

যতবার শুনি, রাশিয়া বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো থেকে ভাড়াটে সেনা নিয়োগ দিচ্ছে, ততবারই আমার বিবেকের উজ্জ্বল কালো চোখের কথা মনে পড়ে। আমি তাঁর লাজুক কণ্ঠ শুনতে পাই। আর তাঁর মতো তারুণের করুণ পরিণতির কথা ভেবে দুঃখ বোধ করি।

আল–জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ মনোজ দে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *