অন্যদিকে অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক, চলচ্চিত্র পরিচালক আবদুল্লাহ আল–মামুন ২০০৮ সালের এই দিনে না–ফেরার দেশে পাড়ি জমান। বাংলাদেশের মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র, শিল্প-সংস্কৃতিকে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ছিল অগ্রণী ভূমিকা। সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশ ও সংরক্ষণ আন্দোলনে নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। আবদুল্লাহ আল–মামুন ১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই জামালপুরের আমলাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। আবদুল্লাহ আল–মামুন তাঁর পেশাগত জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। পরবর্তীকালে পরিচালক, ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট (১৯৬৬-১৯৯১), মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অসংখ্য নাটক রচনায় যেমন নিজের প্রতিভা আর শক্তির পরিচয় দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল–মামুন, তেমনি নিজের অপরিমেয় ক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন তাঁর নির্দেশনা আর অভিনয়েও। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘এখন দুঃসময়’, ‘সেনাপতি’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘কোকিলারা’, ‘দ্যাশের মানুষ’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘মেহেরজান আরেকবার’ প্রভৃতি।নাট্যসংগঠন থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। নাটকের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল। শহীদুল্লা কায়সারের উপন্যাস ‘সংশপ্তক’ নিয়ে ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে আবদুল্লাহ আল–মামুন পান প্রবাদপ্রতিম খ্যাতি। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘সখী তুমি কার’, ‘এখনই সময়’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’।