আহত স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট প্রধান শিক্ষক ৩০-৪০ জন বহিরাগত নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ বিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে তাঁরা হামলা চালালে আমাদের কয়েকজন গুরুতর আহত হন। আমি অচেতন হয়ে গিয়েছিলাম, তারপরও তাঁরা মেরেছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর জ্ঞান ফিরেছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম জাকারিয়া বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করে কমিটির নির্বাচন দিয়েছিলাম, কিন্তু একটি পক্ষ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ে যেতে বাধা প্রদান করছে। বহিরাগত নন, কয়েকজন আত্মীয়স্বজন সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন।’
চারঘাট মডেল থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। স্থানীয় লোকজন প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।