রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, ‘ভবিষ্যতের সংবিধান হওয়া উচিত অন্তর্ভুক্তিমূলক, বাংলাদেশের পাহাড়ি, আদিবাসীসহ সাংস্কৃতিক ভাষাগত ইত্যাদি বহুমাত্রিকতা যাতে প্রতিফলিত হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট থেকে শুরু করে বরেন্দ্রভূমি…পুরোপুরি যাতে সম্পৃক্ত হয়—এসব অঞ্চলের মানুষ সত্যিকার যাতে মনে–প্রাণে গর্ব নিয়ে বাংলাদেশি মনে করে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘৫৩ বছরে ভালো নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। এমন কোনো ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি যে নির্বাচনের ভেতর দিয়ে সরকার পরিবর্তন করা যাবে। বরং সরকার বদল করার যখন প্রশ্ন আসছে, তখন অসাংবিধানিক কোনো পদ্ধতির প্রয়োজন হয়েছে। এর একটা সমাধান মানুষ চায়। বিচার বিভাগের ও বিচারিক পদ্ধতির সংস্কারে মানুষের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন। তিনি বলেন, সংবিধানে আছে ন্যায়পাল হবে। ন্যায়পাল আমরা কোনো দিনও দেখলাম না। ন্যায়পাল থাকলে হয়তো আমরা কিছুটা শান্তি পেতাম। যাহোক, সংসদ সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। পিয়নের চাকরি নিতে গেলেও অষ্টম শ্রেণি পাস লাগে। অন্তত আইনগুলো কী হচ্ছে, সে সম্পর্কেও জ্ঞান থাকা দরকার। শুধু হাত তোলা দিয়ে হবে না, তার অংশগ্রহণ দরকার হতে পারে এবং হওয়া উচিত। ছাত্র-জনতা যা এনে দিয়েছে, তা সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এসব আলোচনা হচ্ছে। উচিত হবে এটি বজায় রাখা। আর রাজনৈতিক সমঝোতা আমাদের মধ্যে হবে কি না, তা নিয়ে খুব সন্দেহ আছে। যদি হয় তো ভালো। এতে যদি দেশের উন্নতি হয়, দেশ যদি একত্রে অগ্রসর হতে পারে, মনে হয় ভালো হয়।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান জাবেদের সঞ্চালনায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও মুস্তাফিজুর রহমান খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও আইন শিক্ষক সাইমী ওয়াদুদ বক্তব্য দেন। আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য দেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন।