রাগ সংবরণ করার উপায় নিয়ে মহানবী (সা.)এর পরামর্শ


ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র.) বর্ণনা করেছেন যে নবীজি (সা.) উপদেশ দিয়েছিলেন, ‘তোমাদের কেউ রাগান্বিত হয়ে পড়লে তাকে নীরব থাকতে দাও।’

জীবনের এক কঠিনতম সময়ে নবীজি (সা.) তায়েফে গিয়েছিলেন। তায়েফবাসী তাঁকে সহযোগিতার বদলে আঘাত করেছিল। তাঁর শরীর থেকে রক্ত গড়িয়ে পায়ে গিয়ে জমাট বাঁধল। আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ফেরেশতা এসে তায়েফের দুপাশের পাহাড় এক করে দিয়ে তায়েফবাসীকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন। নবী (সা.)-এর উত্তর ছিল, ‘(না, তা হতে পারে না) বরং আমি আশা করি মহান আল্লাহ তাদের বংশে এমন সন্তান দেবেন, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে শরিক করবে না।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৫৪)।

নবীজি (সা.) একবার সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কাকে তোমরা বেশি শক্তিশালী মনে করো?’ তাঁরা উত্তর দিলেন, ‘যে ব্যক্তি কুস্তিতে অন্যকে হারিয়ে দিতে পারে।’ নবী করিম (সা.) বললেন, ‘যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয় সে প্রকৃত বীর নয়; সে-ই প্রকৃত বীর যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৮৪)।

হজরত আলী (রা.) এক যুদ্ধে অমুসলিম বাহিনীর সেনাপ্রধানকে সম্মুখযুদ্ধে ধরাশায়ী করে তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলে তিনি আলী (রা.)-এর মুখে থুতু নিক্ষেপ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে আলী (রা.) লোকটিকে ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে গেলেন। সেনাপ্রধান বললেন, ‘আপনি আমাকে হত্যা করতে পারতেন, কিন্তু তা করলেন না কেন?’ আলী (রা.) বললেন, ‘আপনার সঙ্গে তো আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। আপনার সঙ্গে আমি যুদ্ধ করেছি শুধু আপনার অবিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি বিদ্রোহের কারণে। আমার মুখে থুতু নিক্ষেপের পর আমি যদি আপনাকে হত্যা করতাম, তবে তা হয়ে পড়ত আমার ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও প্রতিশোধস্পৃহার বহিঃপ্রকাশ, যা আমি কখনোই চাই না।’ (সাহাবা চরিত)।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *