সেই বইতে উল্লেখ করা হয়, উপদ্রুত এলাকা ঘুরে আসার পর সমন্বিত ত্রাণব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য জেনারেল স্ট্যাকপোল ঢাকায় যান। এরপর বৈঠক করেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুরুদ্দিন খান, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে। ত্রাণ তৎপরতাও শুরু হয় দ্রুত। মেরিন হেলিকপ্টার ও উভচর যানগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সন্দ্বীপ, ভোলা, হাতিয়া, বাঁশখালী প্রভৃতি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ নিয়ে যেতে শুরু করে।
সে সময়কার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে স্ট্যাকপোল বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল দুর্গত মানুষদের মৃত্যু প্রতিরোধ করা; দ্বিতীয় লক্ষ্য ছিল খাদ্য, পানি, ওষুধ, আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির মাধ্যমে স্বাভাবিকতা ফিরে আনা; অর্থাৎ যত বেশি পারা যায় মানুষের জীবন বাঁচানো।’