যুদ্ধংদেহী বিশ্বে যেসব জ্বালাময়ী বিষয় উপেক্ষা করছে পশ্চিমা দেশগুলো


গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের (ডিআরসি) পূর্ব সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছিল। এম২৩ নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই অঞ্চলের গোমা শহর দখল করে নিলে সংঘাতটি বিশ্বের মনোযোগ কাড়ে। জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে এম২৩-কে অস্ত্র দিচ্ছেন এবং পরিচালনা করছেন। তিনি সীমান্তের ওপারে সেনাও পাঠিয়েছেন। কিন্তু কাগামে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এলাকাটি সাধারণভাবে দরিদ্র। কিন্তু এলাকাটি কোল্টানের মতো ধাতব আকরিকে সমৃদ্ধ, পশ্চিমা দেশে যেগুলোর বিপুল চাহিদা রয়েছে। সেখানে যুদ্ধে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। রয়েছে জনস্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থার ঝুঁকি।

এই আকস্মিক সংকট নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স রুয়ান্ডার আচরণের সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ডিআরসির সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে। কিগালির (রুয়ান্ডার রাজধানী) সঙ্গে সহায়তা-বিষয়ক আলোচনা স্থগিত করেছে জার্মানি। কিন্তু এসব পদক্ষেপ সামান্যই প্রভাব ফেলতে পারে।

একটি সমস্যা হলো, গত বছর রুয়ান্ডার সঙ্গে খনিজ পদার্থ নিয়ে একটি কৌশলগত চুক্তি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কিছু খনিজ পদার্থ কঙ্গো থেকে পাচার হয়ে থাকে, এই কথা জানার পরও ইইউ এই চুক্তি করেছে।

আরেকটি সমস্যা হলো, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামেকে আফ্রিকার আদর্শ নেতা বলে প্রশংসা করেছিল যুক্তরাজ্যের আগের সরকার। সে সময় তারা যুক্তরাজ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাঠিয়ে দেওয়ার মতো জায়গা খুঁজছিল। মোটা দাগে, ডিআরসির ভেতরে ও আশপাশে কয়েক দশক ধরে থেমে থেমে সংঘাত চলছে। মারা গেছে লাখ লাখ মানুষ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *