এরপর আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শিশুটির মা পরিবারের অন্য লোকজনসহ বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানান। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে বিদ্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে নৈশপ্রহরীকে শ্রেণিকক্ষের ভেতর আটকে পিটুনি দেন। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে নৈশপ্রহরীকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক প্রথম আলোকে বলেন, বেলা পৌনে একটার দিকে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ওই ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালেও চলে আসেন। তাঁরা হাসপাতালের মূল ফটকে, হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান নিতে থাকেন। হাসপাতাল থেকে নৈশপ্রহরীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে আসেন। নৈশপ্রহরীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হেফাজতে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে মূল ফটকের সামনে আবারও উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়ে তাঁকে গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে।