প্রতিবেদনটির নিহতের সংখ্যা যেভাবে গণনা করা হয়েছে, সেটাও সমস্যাজনক। দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ১৪ হাজার ৯৩ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৭ হাজার ৩৬৩ জন। যেকোনো যুদ্ধে ৩ জন আহতের বিপরীতে ১ জন নিহত হয়, সেটাকে মানসংখ্যা হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এনইউজির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা নেই হতাহতের সংখ্যা তারা কীভাবে গণনা করেছে কিংবা কোন সূত্র তারা ব্যবহার করেছে। অনেক জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী সাধারণত এ ধরনের তথ্য গোপন রাখে, শত্রুপক্ষের কজন নিহত হয়েছে, সেটা তারা প্রকাশ করতে ইচ্ছুক থাকে না।
সুতরাং, এইএনজি কীভাবে এই সংখ্যা দিল, সেটা স্পষ্ট নয়। আবার বিপ্লবীদের পক্ষে কতজন হতাহত হয়েছে, সেই তথ্য সেখানে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনের আরেকটি অংশ নিয়েও বড় প্রশ্ন আছে। সেটি হলো, পক্ষ ত্যাগ করে আসা জান্তা সেনাদের সংখ্যা। এনইউজির দাবি হলো, ‘জনগণকে আলিঙ্গন’ এই কর্মসূচির অধীন ১৪ হাজার ৭৬০ জন সদস্য পক্ষ ত্যাগ করে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পক্ষ ত্যাগ করে আসা লোকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ হলো মিয়ানমার পুলিশের সদস্য। ২০২১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৭২ জন সেনাসদস্য পক্ষ ত্যাগ করেছেন। ২০২৪ সালে পক্ষ ত্যাগ করা সেনাসদস্যদের সংখ্যা ৫৬৭।