মায়ের কথা ভুলিয়ে রাখতে যমজ ছেলেদের নিয়ে খেলনার দোকানে বাবা


মিজানুরের দাবি, ভাইদের সঙ্গে করে ফারিয়াকে একাধিকবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। একপর্যায়ে ২০২০ তাঁর কাছে তালাকনামা পাঠান ফারিয়া। এরপর আদালতে একটি যৌতুকের মামলা করা হয়। ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন মিজানুর। অন্যদিকে তিনি সন্তানের অভিভাবকত্ব দাবি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। মামলাটিতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বর্তমানে রায়ের পর্যায়ে আছে।

তবে শিশু দুটি আপাতত তাঁদের বাবা মিজানুরের সঙ্গেই আছে। গত মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতনপাড়া কবরস্থানে ফারিয়ার লাশ দাফনের পর পরিবারের সম্মতি নিয়ে আরিয়ান ও আইয়ানকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান জুয়েল। তাঁরা দুজন মিলে খেলনার একটি বড় তালিকা ধরিয়ে দিয়েছেন বাবার হাতে। সেগুলো কিনতেই দুই সন্তানকে নিয়ে বের হন মিজানুর।

এ প্রতিবেদক ওই দুই শিশুর কাছে জানতে চান, তাঁরা বড় হয়ে কী হতে চায়। জবাবে আইয়ান জানায়, সে পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবে। অন্যদিকে আরিয়ান হতে চান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। কারণ জিজ্ঞেস করলে আরিয়ান বলে, সে দেশ ও দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য কাজ করতে চায়। এরপর তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় সুরক্ষা কি? উত্তরে সে জানায়, ‘নিরাপত্তা, দেশবাসীর নিরাপত্তা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *