মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যুর জেরে প্রতিপক্ষের বসতঘরে আগুন, লুটপাট


স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, বোরহানের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাঁর অনুসারীরা ব্রাহ্মনদী এলাকায় শিমুলের অনুসারী হেলাল ফকিরের দুটি বসতঘরসহ চারটি বাড়িতে হামলা চালান। লুটপাট ও ভাঙচুরের একপর্যায়ে তিনটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ক্ষতিগ্রস্ত হেলাল ফকির অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা কোনো হামলা মারামারির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। তবু মেম্বারের লোকজন আমাগো বাড়িঘর লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দিছে। সবকিছু শ্যাষ আমার। পরিবার নিয়ে থাকার জায়গাটুকু নাই।’

এদিকে গ্রেপ্তার–আতঙ্কে প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে ঝাউদি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড। অভিযুক্তরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। এসব বিষয়ে জানতে প্রধান অভিযুক্ত শিমুলকে একাধিকবার কল দিলেও তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সোহেল সরদার নামের তাঁর এক অনুসারী বলেন, ‘মেম্বার বোরহান কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি নন, তিনি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এলাকায় বহু মানুষের ক্ষতি করেছেন। এলাকায় লোকজন তাই ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন। এলাকায় যেহেতু মার্ডার হইছে, তাই আমাগো লোকজন এলাকায় নাই। পরিস্থিতি এখন গরম, শান্ত হলেই এলাকায় সবাই ফিরে আসবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *