জয় হরি বর্মণ (৪৫) নামের এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনাটা এখনো মনে আছে। তারপরও এসেছি। এবার নিরাপত্তা দেখে ভালো লেগেছে। তবে নৌকায় যাত্রীর সংখ্যা কম।’
ঘাট ইজারাদার আবদুল বারেক জানান, চারটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করছে। নদী পার হতে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশে বড় নৌকায় সর্বোচ্চ ৩০ জন এবং ছোট নৌকায় ২০ জন যাত্রী তোলা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম বলে জানান তিনি।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মহালয়া উপলক্ষে পুন্যার্থীদের নিরাপদ পারাপারের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘাটের দুই প্রান্ত ও মন্দির এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও সহায়তা করছে। মন্দিরের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত থেকেও স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করছেন।