আবু রাজিন (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর বান্দারা যখন (সামান্য বিপদে) হতাশ হয় এবং (বিপদ কেটে ওঠার জন্য) আল্লাহ ছাড়া অপরের নৈকট্য পেতে চায়, তখন আমাদের রব তার এ আচরণে হাসেন।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, ‘আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ কি হাসেন?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ আমি বললাম, ‘আমরা কখনো পুণ্যের কাজ ত্যাগ করব না, যাতে আমাদের প্রতিপালক হাসেন।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ২/২৫৮)
রাসুল (সা.) বলেন, তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ ভালোবাসেন। তাদের প্রতি (সন্তুষ্ট হয়ে) হাসেন এবং তাদের সুসংবাদ প্রদান করেন। প্রথম ব্যক্তি, যখন যুদ্ধের জন্য সেনাদল বের হয়, তখন সে তাদের সঙ্গে থেকে নিজের জান বাজি রেখে আল্লাহর পথে লড়াই করে। এরপর হয় সে নিহত হয় অথবা আল্লাহ তাকে বিজয় দান করেন এবং তাকে বাঁচিয়ে দেন। আল্লাহ তখন ফেরেশতাদের বলেন, ‘দেখো, আমার এই বান্দা কীভাবে নিজের জান বাজি রেখে আমার পথে ধৈর্যধারণ করেছে?’
দ্বিতীয় ব্যক্তি, যে তার ঘরে সুন্দরী স্ত্রী ও নরম তুলতুলে বিছানা ছেড়ে রাতে উঠে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘সে নিজের মনোবাসনা দমন করে আমাকে স্মরণ করছে অথচ চাইলে সে শুয়ে থাকতে পারত।’
তৃতীয় ব্যক্তি হচ্ছে সে, যে সফরে থাকা অবস্থায় শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে—আরামে থাকুক অথবা কষ্টে, নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। অথচ তার সফরসঙ্গীরা রাতে জাগার পরও শুয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তাআলা এই তিন ব্যক্তির প্রতিই সন্তুষ্ট হন এবং তাদের এসব আমল দেখে হাসেন। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ২/২৫৪)