এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসমাউল হক বলেন, গুলি করার ঘটনায় উদ্ধার হওয়া পিস্তল ও রেইনকোট ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। এগুলো পরীক্ষা করা হবে। আহত ব্যবসায়ীর চিকিৎসা নিয়ে স্বজনেরা ব্যস্ত আছেন। তাঁরা থানায় এলে মামলা হবে। পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিংড়া থানা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করার ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে চৌগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের অদূরে একটি আমবাগানের পাহারা ঘর থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, রেইনকোট ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করেন। আমবাগানের ঘরটি গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী ওসমান গনির মালিকানাধীন। তবে ওই ঘরে কেউ বসবাস করেন না। ঘরের জানালা খোলা ছিল। ঘরটি মূলত আমবাগান পাহারা দেওয়ার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। কৃষিশ্রমিকেরাও কখনো কখনো ঘরটি ব্যবহার করেন। ঘরটি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে।
পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, পিস্তলটি ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। হামলাকারী ঘটনার পর এগুলো জানালা দিয়ে ওই ঘরে ফেলে রেখে যেতে পারে।