কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, থিংকের মশা মারার যন্ত্রটি অন্যতম কার্যকর একটি ট্র্যাপ (ফাঁদ)। আমরা গবেষণার জন্য এক বছরের বেশি সময় ধরে ঢাকার পাঁচটি স্থানে এই যন্ত্রের মাধ্যমে মশা সংগ্রহ করেছি। তাতে দেখা গেছে, প্রতিটি যন্ত্রে দৈনিক পাঁচ হাজারের মতো স্ত্রী মশা (মৃত) জমা হয়। কবিরুল বাশার জানান, এই যন্ত্রের সুবিধা হলো, এটি মা মশা আটকায়। প্রতিটি মা মশা ৫০০ থেকে ৬০০ ডিম দেয়। তার মানে, এই যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মশার সংখ্যা ও বংশবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব।
বর্তমানে ঢাকার উত্তরা, মিরপুর, গুলশান, ধানমন্ডি, বনানী, সাভারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও খোলা জায়গায় থিংক ল্যাবসের এই মশা মারার যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, কুমিল্লা, কক্সবাজার, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি জেলায় গ্রাহকেরা যন্ত্রটি কিনে বসিয়েছেন। বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, সেনানিবাস, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাঁচ তারকা হোটেলেও মশা নিধনে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়েছে।