আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে ৫ লাখ মানুষের প্রাণহানি
টুইন টাওয়ারে হামলার পর প্রতিশোধ নিতে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় তারা বলেছিল, আল-কায়েদাকে ধ্বংস করতে এবং তালেবানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে তারা ওই অভিযান পরিচালনা করছে।
এর দুই বছরের কম সময় পর ২০০৩ সালের ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরাকে সামরিক অভিযান শুরু করে। তাদের অভিযানের লক্ষ্য ছিল ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) ধ্বংস করা এবং সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর ধরে যুদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সামরিক অভিযানে পরিণত হয়েছে। এই যুদ্ধে সরাসরি প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোয় প্রাণহানিও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে অন্তত ৫ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ব্যয়
যুক্তরাষ্ট্র দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে আনুমানিক ৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (ডিওডি) ব্যয় ২ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ব্যয় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার এবং ডিওডির মৌলিক বাজেট বৃদ্ধি করতে আরও ৮৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এ ছাড়া যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সাবেক সেনাদের চিকিৎসা খাতে ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং যুদ্ধের খরচ মেটাতে নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ অতিরিক্ত ১ লাখ কোটি ডলার ব্যয়।