স্থানীয় বাসিন্দা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ রফিকুলের দোকান ঘিরে ধরে। এ সময় ভয়ে তিনি দৌড়ে ব্রিজের ওপর চলে যান। ব্রিজ থেকে নিচে লাফ দেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাঁর বুকের ওপর ওঠেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। উত্তেজিত লোকজন পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ধরেন। কয়েকজনকে মারধর করেন। তিন পুলিশ সদস্য দোকানে আশ্রয় নেন।
নিহত ব্যক্তির লাশ হাসপাতাল থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম। আর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেখানে বিজিবি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনীও পাঠানো হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, তিন ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে কী হয়েছিল, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করা হচ্ছে।