খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান উভয়ই দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা দেখেছে। সেখানকার সমালোচকেরা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ করেছেন, যা কিনা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী অস্বীকার করে আসছে।
আরিফা নূরের মতামতের প্রতিধ্বনি করে বদর আলম বলেছেন, জনসমর্থন প্রধানত পাঞ্জাব ও দেশের অন্যান্য শহুরে এলাকায় দৃশ্যমান ছিল।
আলম আরও বলেছেন, ইমরান খান এখনো জেলে থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মূল সমর্থকদের চোখে সামরিক বাহিনীর ইমেজ কতটা পরিবর্তিত হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
জনপ্রিয়তা কি স্থায়ী হবে
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, আন্তর্জাতিক উত্তেজনার সময় ‘পতাকার চারপাশে একত্র হওয়ার’ প্রভাব স্পষ্ট হলেও নেতা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনসমর্থন সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হয়।
নিউইয়র্কের আলবানি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক নিলুফার সিদ্দিকি আল–জাজিরাকে বলেন, বর্তমান সংকট থেকে সামরিক বাহিনী কত দিন জনগণের সমর্থন উপভোগ করবে, তা স্পষ্ট নয়।
তিনি আরও বলেন, এটি অনেকটাই নির্ভর করছে ভারতের বক্তব্যের ওপর এবং তা উত্তেজনাপূর্ণ থাকবে কি না, তার ওপর।
সিদ্দিকি আরও যোগ করেছেন, পিটিআই আগে খুব কঠোর ভাষায় সেনাবাহিনীর সমালোচনা করত। এখন প্রশ্ন হলো, সেনাবাহিনীর এই জনপ্রিয়তা বাড়ার পর ভবিষ্যতে পিটিআই তাদের বক্তব্য কীভাবে সাজাবে?