ভারত-পাকিস্তানের এবারের এই উত্তেজনার সূত্রপাত গত মাসে, কাশ্মীরের ভারত-নিয়ন্ত্রিত অংশে এক পর্যটকবহরে ভয়াবহ হামলার মাধ্যমে। ওই হামলায় ২৫ জন ভারতীয় ও ১ জন নেপালি নাগরিক নিহত হন। ভারত এর দায় পাকিস্তানের ওপর চাপায়। ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
দুই দেশই একে অন্যকে দোষারোপের পর পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই যুদ্ধের দিকে গড়িয়েছে। এক সামরিক মহড়ায় পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির একটি ট্যাংকের ওপর উঠে সেনাদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব হবে তৎক্ষণাৎ, কঠিন এবং আরও শক্তিশালী।’ জাতীয় নিরাপত্তাবিশ্লেষক ও অধ্যাপক ভরত কারনাড মনে করেন, পুরো পরিস্থিতি এখন মুনিরের হাতে। তাঁর ভাষায়, মুনির একটু উগ্র ধাঁচের মানুষ।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর মতে, মূল সমস্যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে, ‘মোদি এখন রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা। ভোটের হার কমে যাচ্ছে। তাই কাশ্মীরের সীমানা বদলে দিয়ে নিজের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে চান তিনি।…আমি মনে করি, তিনি যুদ্ধক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করবেন।’