ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার ঘিরে ট্রাম্পের নতুন কূটনীতি


এ রকম ধারণা অসত্য ছিল না। বিগত দশকগুলোতে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উৎসাহ, সহায়তা ও অনুপ্রেরণার কমতি ছিল না। কিন্তু ট্রাম্প তাঁর গত কয়েক মাসের কথা ও কাজে বার্তা দিচ্ছেন সে-ই পুরোনো বন্ধুত্ব প্রতিদান ও আনুগত্য চাইছে; ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র সব মৌসুমের বিশ্বস্ত সঙ্গী ভাবছে না আর। পরোক্ষে সেই কথা বুঝিয়ে দিতেই পাকিস্তানের জন্য সুবিধাজনক শুল্কছাড় দেওয়া হলো। অন্যদিকে ভারতের জন্য দুই দফায় শুল্ক করে দেওয়া হলো ৫০ শতাংশ।

কিছুদিন আগে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণও ভারতের জন্য বিশেষ অস্বস্তিকর ছিল। আইয়ুব খানের পর পাকিস্তানের কোনো সেনাপ্রধানের হোয়াইট হাউসে এ রকম খাতিরের নজির নেই। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় ভারতীয় মনস্তত্ত্বে একের পর এক চোট লেগেছে।

তার আগে, যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ এবং কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারণের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ প্রকাশে পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকদের উচ্ছ্বাস গোপন নেই এখন আর। গত জুনে সেনাপ্রধান মুনির ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার পক্ষেও মতামত দিয়ে ফেলেছেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কূটনৈতিক ত্রিভুজে এ রকম ওলটপালট ঘটছে কেন?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *