কুপওয়ারা সীমান্তে এখনো গুলিবর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছাকাছি যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
কুপওয়ারার কারনাহ সেক্টরের বাসিন্দারা ব্যক্তিগত ব্যয়ে ভূগর্ভস্থ বাংকার তৈরির কাজ শুরু করেছেন বা সেগুলো পুনর্নির্মাণ করছেন।
পেহেলগামের ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির নিচে বাংকার তৈরির কাজ যাঁরা শুরু করেছেন, এমনই একজন পীরজাদা সৈয়দ।
পীরজাদা বলেন, ‘সীমান্তে গোলাগুলির পরিণতি আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি। জীবনহানি হয়েছে, অতীতে কৃষিকাজের অভাবে মানুষও অনাহারে মারা গেছে।’
পীরজাদা সৈয়দ বলেন, ‘আল্লাহ করুন, যেন কিছু না হয়। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে, যেকোনো সময় কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। সে কারণেই আমরা ভূগর্ভস্থ বাংকার বানাচ্ছি, যাতে কিছু হলে আমরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারি।’
কুপওয়ারার একাধিক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘অতিরিক্ত সামরিক তৎপরতা’ এবং রাতের আকাশে জেট বোমারু বিমানের আওয়াজ তাঁদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
কুপওয়ারার নিয়ন্ত্রণরেখার জিরো লাইনে অবস্থিত টোড গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘২০১৭ সালে যখন গোলাবর্ষণ হচ্ছিল, তখন আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে একটা শেল এসে পড়ে ছিল এবং তাঁর মৃত্যু হয়।’
ওই বাসিন্দা বলেন, ২০২১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি কঠোরভাবে মেনে চলতে রাজি হলে চার বছর ধরে জীবন শান্তিপূর্ণ ছিল। এখানে কৃষিকাজ হয়েছে, বাচ্চারা স্কুলে গেছে, ব্যবসা হয়েছে। কিন্তু এখন আশঙ্কা হচ্ছে, আগের মতো পরিস্থিতি হয়তো ফিরে আসতে পারে।
পীরজাদা সৈয়দ বলেন, ‘দুদিন আগে কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে এখানকার বাসিন্দাদের বাংকার পরিষ্কার করতে এবং তার চারপাশের আগাছা বা কাঠের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে বলেছিলেন। এই ঘোষণার কারণে সবাই হতবাক হয়েছেন। কিন্তু বাঁচতে হবে, তাই সবাই বাংকার পরিষ্কার বা পুনর্নির্মাণ করতে শুরু করে দিয়েছেন।