ভারতে নকশালরা কেন বারবার ব্যর্থ হয়


তারপরও পরাজয় তেলেঙ্গানায়

এত কিছুর পরও আটের দশকের মাঝামাঝি তেলেঙ্গানায় নকশালরা বোঝে, তারা হারতে চলেছে। নকশাল দমন অভিযান শুরু হয়। এরপরের ১০-১৫ বছরে অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এখানেই প্রশ্ন; এত কাজ করে অন্ধ্র প্রদেশ বা তেলেঙ্গানা থেকে কেন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেন নকশালপন্থীরা?

এর একটা ব্যাখ্যা ২০১০ সালে দিয়েছিলেন চাম্বালা রবিন্দার। সে সময় আমি যখন ছত্তিশগড়ের বস্তারে মাওবাদীদের শিবিরে ৩৪ দিন ছিলাম, তখন রবিন্দার আমাকে তাঁদের প্রশিক্ষণশিবির ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন। তিনি সে সময় সিপিআই-মাওবাদীর অন্যতম শীর্ষ সেনানায়ক ছিলেন; একাধারে দ্বিতীয় গেরিলা ব্যাটালিয়নের প্রধান এবং অন্যদিকে নর্দান মিলিটারি কমান্ডের কমান্ডার ছিলেন।

চাম্বালা রবিন্দার বলেছিলেন, ‘তেলেঙ্গানাতে ভালো কাজ করলেও, সামরিক সামর্থ্য গড়ে তুলতে পারিনি। সামান্য ধাক্কাতেই ভেঙে পড়েছিলাম। তাই ছত্তিশগড়ে গোড়া থেকেই (১৯৮০ সাল থেকে) জোর দিয়েছিলাম ঘাঁটি অঞ্চল (বেজ এরিয়া) এবং “কমান্ড স্ট্রাকচার” গড়ে তোলার ওপর। সেই কারণে এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছি।’

গত সপ্তাহে আবার আমি তাঁকে ফোন করেছিলাম। রবিন্দার এখন হায়দরাবাদের এক কলেজে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। ২০১৪ সালে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। তিনি প্রথমে বললেন, মেয়ে ক্লাস নাইনে পড়ছে। পরে স্বীকার করলেন, ২০১০ সালে তাঁর পর্যবেক্ষণে ভ্রান্তি ছিল। তিনি বলেন, সমাজের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের হাতে মুঠোফোন, সবাই ফেসবুক দেখছেন। এই অবস্থায় জঙ্গলের ভেতর থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই এখন তাঁর মনে হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *