ভারত ও পাকিস্তান কি পিছু হটতে পারবে
ভারত আবারও উত্তেজনা বাড়ানো আর সংযম দেখানোর মাঝামাঝি এক জটিল পথ ধরে চলছে।
পেহেলগামের হামলার পরপরই ভারত দ্রুত পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান সীমান্ত পারাপারের পথ বন্ধ করে দেয়, পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য অধিকাংশ ভিসা বন্ধ করে দেয়।
উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে হালকা অস্ত্র দিয়ে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারত তার আকাশসীমায় সব পাকিস্তানি বিমান নিষিদ্ধ করেছে।
জবাবে পাকিস্তান ১৯৭২ সালের একটি শান্তিচুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কয়েকটি কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে।
এটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের জবাবের পুনরাবৃত্তি। সেবার ভারত দ্রুত পাকিস্তানের ‘সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী দেশ’ মর্যাদা প্রত্যাহার করে। পাকিস্তানের ওপর ভারী শুল্ক আরোপ করে এবং প্রধান বাণিজ্য ও পরিবহন সংযোগ স্থগিত করে দেয়।
ভারত বালাকোটে বিমান হামলা চালানোর পর সংকট তখন তীব্র আকার ধারণ করে। পাল্টাপাল্টি পাকিস্তানও বিমান হামলা চালায় এবং ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে। এতে উত্তেজনা আরও চরমে পৌঁছে যায়।
পাকিস্তান সদিচ্ছার নিদর্শন হিসেবে বৈমানিক অভিনন্দনকে মুক্তি দিলে শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাস পায়।
গত সপ্তাহে বিবিসির সংবাদদাতাকে সাবেক কূটনীতিক অজয় বিসারিয়া বলেন, ভারত চেয়েছিল, পুরোনো ধাঁচের কূটনীতিকে আরেকবার সুযোগ দিতে। একদিকে যখন তারা মনে করেছিল কৌশলগত ও সামরিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তানও নিজের জনগণের কাছে একধরনের বিজয়ের বার্তা দিতে পেরেছে।