বৈঠকের পর পুতিন ট্রাম্পের চেয়ে দ্বিগুণ সময় বক্তব্য দিয়েছেন।


টাইশকেভিচের আশঙ্কা, ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আরও বেড়ে যেতে পারে। যুদ্ধের সক্ষমতা থাকা নাগরিকদের আরও বেশি করে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করতে পারে রাশিয়া।

ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলের বিষয়ে ইউক্রেনের সামরিক বিশ্লেষক ইহর রোমানেনকো হতাশা প্রকাশ করেছেন।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রোমানেনকো আল–জাজিরাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক হওয়ার মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, পুতিন সেখানে ‘বৈধতা’ পেয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিকভাবে ‘একঘরে’ অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে।

রোমানেনকো মনে করেন, পুতিনকে এমনভাবে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। পুতিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এক দুর্জন ব্যক্তি যাঁকে তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করা উচিত।

রোমানেনকো আরও বলেন, ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াসংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করেননি। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো অবস্থানও নেননি। সুতরাং যতক্ষণ না ট্রাম্প নিজের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি দেখাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ইউক্রেনকে আরও জটিল লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে হামলা জোরদার করবে এবং ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংসাত্মক বিমান হামলা আবারও শুরু করবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সাবেক এ সামরিক কর্মকর্তা। তিনি মনে করেন, এখন ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যেন যুদ্ধে অংশগ্রহণের সক্ষমতা থাকা সব মানুষকে প্রস্তুত করা যায় এবং সামরিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে অর্থনীতিকে পরিচালনা করা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *